Posts

Showing posts from July, 2024

বিয়েতে যৌতুক

  বিয়ের আসরে ছেলের বাবা হাসিমুখে বললেন, "বেয়াই সাহেব, বিয়েতো হয়ে যাচ্ছে তো আমার ছেলের জন্য বলছিলাম যে পাঁচ লাখ টাকা আর একটা বাইকের ব্যবস্থা করলে সুবিধা হতো। আসলে চাইতাম না তবুও ওর অফিসে যাতায়াতের জন্য বাইকটা খুবই প্রয়োজন ছিল। আর আমারও কিছু ঋণ-টিন আছে ওগুলোও পরিশোধ করতাম। ছেলে তো আমার একটাই। আমার যা আছে সবই তো ওর আর ওর মানে আমার বউমার।" মেয়ে পক্ষের সকলে এই কথা শুনে চুপ করে রইলো। কিছুক্ষণ বাদেই কাজি সাহেব আসলেন বিয়ে পড়ানোর খাতা পত্র নিয়ে। যখন কাবিনের কথা উঠলো তখন মেয়ের বাবা কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কাজি সাহেবকে বললেন, "আপনি দশ লাখ টাকা কাবিন লিখেন।" এই কথা শুনে ছেলের বাবা ফুঁসে উঠে বললেন, "দশ লাখ টাকা কাবিন? মগের মুল্লুক নাকি? আমার ছেলের সামর্থ্যও তো দেখতে হবে নাকি?" মেয়ের বাবা সামান্য হেসে বলেন, "মেয়ে তো আপনাদের কাছেই থাকবে তো দশ লাখ কাবিন হোক আর এক কোটি হোক তাতে কি আসে যায়?" ছেলের বাবা রাগমিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, "যত যাই বলেন আমি এতো টাকা কাবিন দিবো না।" মেয়ের বাবা ভরা মজলিসে সামান্য অট্টহাসি দিয়ে বলেন,"দশ লাখ টাকা কাবিন দিতে আপনার...

কম বয়সী মেয়ের সাথে বেশী বয়সী ছেলের বিয়ের পরিণতি।

 ফুফুর বাসায় এসে শুনি ফুপাতো ভাই বিয়ে করবে তার জন্য মেয়ে খুজঁতেছে ভাইয়ার বয়স অনেক ৩৪+ বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুঁজতেছে একটা মেয়েকেও নাকি ভালো লাগে না সে নাকি বিয়ে করলে কম বয়সের মেয়েকে বিয়ে করবে। তো সে রকম মেয়ে খুঁজতেছে। একটা মেয়ের খুজ পাওয়া যায় মেয়ের নাম তহা দেখতে মাশাল্লাহ..! মেয়ে কেবল SSC পরিক্ষা দিলো রেজাল্ট ও এখনও বের হয় নাই। ভাইয়ার পছন্দ মতোই মেয়ে পাওয়া গেছে কম বয়সী চুল লম্বা চোখ দুটোও বড় বড় মায়াবী মুখ। মেয়েকে দেখে সবার এ পছন্দ হলো ভাইয়ার ও পছন্দ হয়। তো বিয়ে হলো ৩দিন পর শুক্রবার। কারণ ভাইয়ার বয়স বেশি তাই দেরি না করে তারাতারি বিয়ে দিলো ভালোই চলছিলো দিন। ২ মাস পর খবর পাওয়া গেলো ভাবি নাকি প্রে'গন্যা'ন্ট শুনে সাবাই খুশি হলেও আমি খুশি হতে পারলাম না কারণ ভাবির বেশি বয়স এ হয় নাই। বাচ্চা আসার ৭ মাস হয়ে কয়দিন গেছে তাতেই ভাবির পেটে ব্যা'থা শুরু হয়। ব্যা'থা নিয়ে ৩দিন থাকার পর মেডিকেল এ ভর্তি করা হয় বা'চ্চা হওয়ার ডে*ড হয় নাই তবুও বা'চ্চা হওয়ার মতোই ব্যা'থা শুরু হয়। ডাক্তার চিকিৎসা করার পরও যখন ভাবি বেশি অসুস্থ হওয়া শুরু করলো এটা দেখে ডাক্তার ডে'লিভা'রি করতে বলে...

বউ বি সি এস কাটার

  বউ এর বিসিএস এডমিন ক্যাডারের রেজাল্ট দেখে চোখ কপালে উঠে গেলো পুরো বাংলাদেশে ৩য় স্থান দখল করেছে সে। বউ রেজাল্ট দেখতে রোল নাম্বার দিয়েছিল কিন্তু এতোটা যে অবাক হবো তা ভাবেনি। আমার মতো একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকের বউ এর এমন রেজাল্ট, সত্যিই অবাকের বিষয়। আমার বউ সুপ্তি। তাকে বিয়ে করেছি বছর দু'য়েক হলো। আমাদের লাভ ম্যারেজ ছিল। পুরো একবছর চুটিয়ে প্রেম করে তারপর দুজনে বিয়ে করেছি। অনেক চেষ্টা তদবীর এর পর একটা চাকরী জুটেছিল আমার যার সুবাদে তাকে বিয়ে করে ঘরে তুলতে পারি।নইলে কি আমার মতো ছেলের, সুপ্তির মতো মেয়ে জুটে! আজ দুইবছর তার স্বপ্ন বাস্তব করতে তার সকল সহযোগীতা করেছি আমি। এমন কি বেবিও কন্সিভ করেনি আমরা। দেশে, যতো বিসিএস কোচিং সেন্টার আছে, সব কোচিং করিয়েছি। যাতে তার টার্গেট টা ঠিক থাকে। তার পড়ার প্রবলেম হবে, তাই নিজে রান্না করতাম। তার কাপড়-চোপড় সব কিছু আমিই ধুয়ে দিতাম। তার কোনো কিছুতেই কমতি রাখেনি। আজ তার এমন রেজাল্ট দেখে সত্যি ই খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আমি জয়ী হয়েছি। ছোট বেলা থেকে আমারও স্বপ্ন ছিলো বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। কিন্তু সব ইচ্ছে কি আর সত্যি হয়! তবুও নামে মাত্র লুকিয়ে,এক্সাম এত...

আমি শুধুই তোমার (পর্ব ১)

 শাড়ি টেনে বুকের উপর থেকে সরিয়ে ফেলল তিয়াস। "এগুলো কি করছো তিয়াস?" "বয়ফ্রেন্ড বানাবি আর বয়ফ্রেন্ডের সাথে শুবি না এটাতো হবে না।আজকে তোকে আমার সাথে রুম ডেট করতে হবে।সাতটা মাস চরকির মতো ঘুরাইছিস।আজকে তোর ভিডিও ভাইরাল করে দেবো।তারপর তোর এই রুপ কই যায় তাই দেখবো।একবছর ধরে তোর পিছনে ঘুরছিলাম কিন্তু পাত্তা দেছ নাই।তার পর যখন একসেপ্ট করলি তখন নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাইছিস।এবার দেখ তোর কি করি। "তুই এতো বড় শয়তান আমার আগে জানা ছিলো না।তোকে বিশ্বাস করাটা আমার চরম ভুল ছিলো।ইনান আগেই বলেছিলো তুই খারাপ কিন্তু আমি ওকে বিশ্বাস করি নি।তুই বিশ্বাসঘাতক।" (ঘন্টাখানেক আগে.. "জান একবার দেখা করো না।" "কালকেইতো দেখা হলো।" "তোমাকে আমার প্রতিদিনই দেখতে ইচ্ছা করে।আসো না একবার প্লিজ।" "কিভাবে আসবো বলো?ক্লাস আছে তো।" "আমার থেকে তোমার ক্লাস ইম্পর্টেন্ট হয়ে গেলো?" "না তেমন না।" "আমি জানি এখন আর তুমি আমাকে ভালোবাসো না" "না সত্যি বাসি তো।" "তাহলে আসো না দেখা করি।" "তোমার সাথে তো আর পারা যাবে না।আসছি আমি।...

আমার রাজ্যের রানী (পর্ব_ ১)

ছেলেদের শরীর দেখানোর জন্য রাতের বেলা একা একা এমন রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়ালে ছেলেদের তো লোভ লাগবেই। লোকটার কথা শুনে ফিরে তাকালো অভনী। চোখ মুখ শক্ত করে বলতে লাগলো,,,  ---আমি টিউশনি তে গিয়েছিলাম। ---মেয়ে মানুষ রাতের বেলা টিউশনি করেন কেন দিনের বেলা করতে পারেন না? ---দিনের বেলা একটা জব করি,,। ওইখান থেকে আসতে আসতে ৬ টা বাজে। ফ্রেশ হয়ে বাজারে যেতে হয়,, বাজার থেকে এসেই টিউশনি তে আসি তাই রাত হয়ে যায়। ---বাব্বাহ জব করে আবার টিউশনি ও করেন? তো রাতের বেলা কাউকে সাথে নিয়ে আসতে পারেন না?একা একা আসেন তাও আবার এমন রাস্তা দিয়ে কেনো? আজকে আমি না থাকলে কি হতো বুঝতে পারছেন? লোকটার কথায় এবার বিরক্ত লাগছে অভনীর,,। বাচিঁয়েছে বলে কি মাথা কিনে নিয়েছে নাকি ধন্যবাদ তো বলেছে,,অভনী বিরক্ত মাখা মুখ করে বললো,,, ---জব টা ছেড়ে দিব তাই টিউশনি করছি সাথে যেন পরে পথে বসতে না হয়। আমি এই এলাকায় এসেছি ২০ দিনের মতো তাই কোন রাস্তা ভালো আর কোন রাস্তা ভালোনা তাই জানি না। ---আপনি জব ছেরে দিলেই পথে বসতে হবে কেন? আপনি একজন মেয়ে মানুষ,, আপনার বাবা কোথায়? ---বাবা মারা গেছে ২ মাস হবে,,। তখন থেকে পরিবারের দায়িত্ব আমার উপর তাই আমাকেই স...

বুক ফাটানো গল্প (পর্ব_ ৩)

 আমি বিকেল পাঁচটা নাগাদ লেকের পাড়ে দাঁড়ালাম। সে সময়মতো পৌঁছালো। আমি তার চোখে তাকাতে পারছিলাম না। প্রতারককে দেখে আমার বুক কাঁপছিলো। হাত পায়ের শক্তি ফুরিয়ে আসছিলো।অথচ সে মানুষটা কি সুন্দর বিয়ে করে এখন বুক ফুলিয়ে দেখা করতে এসেছে। মনে হচ্ছে কতোই না সৎ।মনে হচ্ছে আমিই চোর সেই পুলিশ।কিন্তু আমি তো চোর নই। চুরি যদি কেউ করে তাহলে সে। আমাকে হতে হবে আজ মিস ডায়না। আত্মবিশ্বাস না থাকলে চলবেই না। আমি ঠিকঠাক হয়ে দাঁড়ালাম। চাইলাম সবচেয়ে মিষ্টি করে কথা বলবো। যাতে মনে হয় আমার চেয়ে মিষ্টি মেয়ে পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা নেই। তারপর না আসল খেলা। সব কষ্টের হিসেব নিবো আমি। রাফি এলো। আমি সালাম দিলাম। সে উত্তর দিলো।তার চোখ দেখেই বুঝলাম সে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে। লোভী,প্রতারক, ছ‍্যাবলা কোথাকার।মনে মনে বলতেই এই ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে সে বললো, --তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। তোমার চুলগুলো এত্তো লম্বা এত্তো সুন্দর? মনে মনে নিজেকে নোবেল দিচ্ছি। প্ল‍্যান সাকসেস। দেখ কেমন লাগে এখন। আমি ঠোঁট বাকিয়ে হাসলাম। তারপর বললাম, -- আরে না কি বলো? সে চোখের পলক না ফেলেই বললো, -- অপ্সরী আমি মনে মনে ভাবলাম, কতো রুপ মানুষের। কতো সুন্দর মিথ‍্যা বলে অ...

বুক ফাটানো গল্প (পর্ব _২)

তন্নী তনু  "কলিং রাফি"। আমি ফোন ধরলাম না। কয়েকবার ফোন বাজলো। রাত দশটায় মেসেজ এলো। মেসেজ ওপেন করে আমি ঘেমে উঠলাম। মেসেজ ওপেন করলাম। সেখানে লেখা ছিলো, -- প্লিজ বেলকুনিতে আসো। আমি তোমার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছি। আমি তখন তরতর করে ঘামছি।কারণ বাবা বাসার নিচে গেছে পাঁচ মিনিট আগে।রাফির এই বাসার নিচে আসা নতুন কিছু নয়।এর আগে অনেক রাতেই আমি আর রাফি ফোনে কথা বলেছি। সে বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থেকেছে আর আমি বেলকুনিতে।কিন্তু সেদিনের রাফির পরিচয় ছিলো শুধু একজন পুরুষ।তাকে কেউ চিনতো না।তবে আজ রাফির অন‍্যে একটি পরিচয় আছে।ও অনিমার হাজব‍্যন্ড। আমার বাবা মা তাকে এই পরিচয়েই চেনেন।সুতরাং এতো রাতে আমার বাসার নিচে আমার বান্ধবীর বরকে দেখে অবশ‍্যেই বাবা সহজ ভাবে নিবেন না। মাথা কাজ করছিলো না থম মেরে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। অজানা আতঙ্কে আমি ঘেমে যাচ্ছিলাম বারবার ।যে মানুষটা কয়েকটা দিন আগে লুকিয়ে  বিয়ে করলো।আমাকে মসলার মতো পিষে পিষে এখন এসেছে আমার বাসার নিচে ঢং করতে। ঢং এরও তো লিমিট আছে। যন্ত্রণায় যন্ত্রণায় জর্জরিত স'র্বা'ঙ্গ আমার। তাকে সামনে থেকে দেখার মতো অসহনীয় য'ন্ত্রণা অবশ‍্যেই দুটো হবে না।তার সামনে ...

ছোট বেলার ভালোবাসা (পর্ব _১)

 বাসর রাতে হটাৎ স্বামীর হাতে একটা চিহ্ন দেখে ঘাবড়ে গেল প্রিয়ু। এটা কিভাবে সম্বব? এ তো সেই চিরচেনা চিহ্ন যেটা সে নিজের হাতে দিয়েছিল তার জীবনের একমাত্র ভালবাসাকে। এটা রিদের হাতে কিভাবে আসলো?  আজ প্রিয়ুর বিয়ে হয়েছে সদ্য রিদানের সাথে। খুব সাধারণ সাধাসিধা ছেলে রিদ। সদ্য সরকারি চাকুরি পেয়েছে ব্যাংকে। বাবা মা গ্রামে থাকেন জন্য একা একা থাকতে হয়। তাই মা জোড় করে বিয়ে দিয়েছে। রিদ রুমে ঢুকেই ড্রেস চেঞ্জ করে হাফ হাতা গেঞ্জি পড়ে আসার সময় প্রিয়ু দেখে ফেলে চিহ্নটা। প্রিয়ুর দিকে এতসময়ও তাকায় নি রিদ। হ্যা, আরেঞ্জ ম্যারেজ তাদের। এর উপর প্রিয়ু তাকে আগেই বলেছে তাকে স্বীকার করবে না। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব? যাকে সে সারাজীবন খুঁজে চলেছিল এই কি সেই কাম্য পুরুষটা তার? যাকে ছোটবেলা হারিয়েছিল সে?  কিছুদিন আগে,,,,, মেয়ের বয়স বেশি হয়ে যাচ্ছে জন্য ছেলে পক্ষ আসতে বলেছে প্রিয়ুর বাবা আজ। কিন্তু প্রিয়ুর মাথায় তো অন্য চিন্তা।।। 'পাত্রপক্ষের সামনে এসব অভদ্রতার মানে কি অপরিচিতা?' মায়ের কথা শুনে আরো যেন ভড়কে গেল প্রিয়ু। মা রেগে থাকলেই তার পুরো নাম ধরে ডাকেন।  কিছুক্ষণ আগে তাকে দেখতে আসা ছেলে পক্ষের সামনে...

নিনিত_যুদ্ধ (পর্ব ১)

 একদিন পর,  নিখোঁজ হওয়া  মামাতো বোন রিফাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় , একটা ব্রিজের নিচে অচেতন অবস্থায় পেলাম ।  অর্ধনগ্ন বলার কারণ , রিফার শরীরের জামাকাপড় ঠিকঠাক নেই । ছেড়া এবং কিছুই ঠিক নেই । গত পড়শু দিন থেকে রিফাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না । রিফা অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে । খুব সাদামাটা এবং খুব ভালো মনের একটা মেয়ে ।  ওর সাথে এত খারাপ কিছু হবে তা কখনও কল্পনা করিনি ।  রিফা নিখোঁজ হওয়ায় মামী অসুস্থ হয়ে পড়েছে । মামা সেই কবেই পটল তুলেছে । সংসারের সকল দেখাশোনা মামী নিজে একা হাতে করেন ।   পরিবারের বাবা একজন খুটি স্বরূপ । রিফাকে হসপিটালে এডমিট করা হয়েছে । রিফার অবস্থা খুব একটা ভালো না । টেনশনে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।  রক্ত লাগবে , ঔষধ লাগবে ইত্যাদি সব আমার করা লাগছে । আমি ছাড়া এসব করার মতো আপাতত কেউ নেই । নিজের কাজ ফেলে রেখে অন‍্যর কাজ করে দেওয়ার মতো মানুষ পৃথিবীতে এখন বিরল ।  আমি হসপিটালে ওয়েটিং রুমে বসে থেকে সময়  পার করি । কখন কি লাগে ম‍্যানেজ করি । গত তিনদিন ধরে চোখে ঘুম নেই ।  এক প্রকার ঘুমানোর সময়ই পাচ্ছি না । সময় পেলেও ঘুম হবে না । কি ...

একটি বিবাহিত ছেলে/মেয়ের কাহানী

  আমার স্বামী ইটালি প্রবাসী। সন্তান প্র'সবের দিন সে আমাকে ফোন করে সন্তানের ব্যাপারে কোনো কিছু জানতে না চেয়ে বললো,"তোমার সঙ্গে সংসার করার ইচ্ছে আমার নেই। খুব শীঘ্রই ডি'ভোর্স লেটার পেয়ে যাবে। বিয়ের আগে এক মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিলো। আমি তাকে বিয়ে করবো।" আমার পুরো পৃথিবী দুলে উঠলো। কোনো রকমে বললাম,"অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক থাকলে আমাকে বিয়ে করেছো কেনো? আর তুমি যে বিয়ে করেছো এটা কি ঐ মেয়েটা জানে?" সে প্রশ্ন দুটোর উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দিলো। তারপর থেকে সে আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে নি। সদ্য জন্ম নেয়া মেয়েকে নিয়ে আমি এখন কী করবো? শ্বশুর শাশুড়িকে যখন স্বামীর কথাগুলো বললাম, তারা শুনে স্ত'ব্ধ হয়ে গেলেন। তারাও অনেক চেষ্টা করেছিলেন ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে। কিন্তু পারেন নি। বাবা এসে আমাকে বাড়ি নিয়ে গেলেন। যাওয়ার আগে শাশুড়ি মা আমাকে বললেন,"বউমা, আমরা তোমার সাথে আছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের তুমি সঙ্গে পাবে।" বাবার বাড়িতে আসার কিছুদিন পরই আমার নামে ডি'ভোর্স লেটার এলো। তখন ভাবলাম, আমি কি এই অন্যায় মেনে নেবো, নাকি শয়'তানটার বিরুদ্ধে ল'ড়াই করবো? বহু...

কিছু কথা

 দুধ খারাপ হলে দই হয়ে যায়। দই দুধের চেয়ে  দামি। যদি এটা আরো খারাপ হয়, এটা পনির মত হয়ে যায়। দই এবং দুধের চেয়ে পনিরের মূল্য অনেক বেশি। আর আঙুরের রস টক হলে তা ওয়াইনে রূপান্তরিত হয়, যা আঙ্গুর রসের চেয়েও দামী। তুমি খারাপ না কারণ তুমি ভুল করেছ। ভুল হল সেই অভিজ্ঞতা যা আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে আরো মূল্যবান করে তোলে। ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে।টমাস আলভা এডিসন কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন? তিনি বলছিলেন, 'অসংখ্যবার!' তা শুনে  প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?'  উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা  এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!'ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন । এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই সবই নতুন শিক্ষা।...

বুক ফাটানো গল্প (পর্ব _১)

 বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে দেখি বর আমার প্রেজেন্ট বয়ফ্রেন্ড। আমার বুকটা ধুক করে কেঁপে উঠলো। হৃদপিণ্ডটা থেমে গেলো।আমি বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।কাল রাতে এই মহানায়ক আমাকে বলেছে সে ট‍্যুরে যাচ্ছে। নেটওয়ার্কের সমস‍্যা থাকলে ফোন বন্ধ দেখাবে। অথচ সে সোজা বিয়ের পিড়িতে। দুই বছর পনেরো দিনের রিলেশন আমাদের। কতো খুনশুটি আর ভালোবাসার স্মৃতি আমাদের।আমার চোখে রাফি সৎ, নম্রভদ্র ছেলে। তারচেয়ে বড় কথা আমাকে নিয়ে ভিষণ সিরিয়াস সে।খুব কেয়ারিং ছেলে।অথচ ছেলেটা না জানিয়ে সোজা অন‍্য মেয়েকে বিয়ে করতে চলে এলো। অথচ আমি টু শব্দটিও জানলাম না। বিয়েটি যেহুতু ঘরোয়া ভাবে। তাই সবাইকে ড্রয়িং রুমের পাশের রুমটিতে বসানো হয়েছে। অধীর আগ্রহ নিয়ে হবু দুলাভাইকে দেখতে গেলাম। জানালার ফাঁকে চোখ রাখতেই রাফিকে দেখলাম। অনেকগুলো ছেলের মধ‍্যে রাফি ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী পড়ে আছে। রাফি বলেছিলো রাতের গাড়িতেই সে চট্টগ্রাম যাচ্ছে। অথচ সে সিরাজগঞ্জ এ। ভাবলাম বন্ধুর বিয়েতে হয়তো এসেছে। পাশে থাকা নিলিমাকে বললাম বর কোনটারে। নিলিমা অনিমার ছোট বোন। সে হাতের ইশারায় দেখালো রাফিকে। আমি পুরো কনফিডেন্ট ছিলাম যে রাফি বর হতেই পারে না। নিলিমা বললো, --চলো ভিতরে ...

সামাজিক কিছু কথা

 সামর্থ্য থাকলে কখনোই গ্রামে থাকা উচিত না। গ্রামে ১০০ বিঘা জমির মালিক হওয়ার চেয়ে শহরে এক টুকরো ভাড়া বাসায় থাকা অনেক ভালো,অনেক সম্মানের,অনেক আরামদায়ক। গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করাটাকে কোন সূচকে এগিয়ে রাখা যায় আসলে? এখানে বেশিরভাগ মানুষ এতই টক্সিক যে তারা তাদের ব্যাক্তিগত জীবনের থেকে আপনার জীবন নিয়ে বেশি চিন্তিত।আপনার চুল বড় কেন,আপনি বোরকা পড়েন না কেন,অনার্সে পড়লেও মেয়ের বিয়ে দেয়না কেন,বয়স ২৫ পেরিয়ে গেলেও এখনো জব হয়না কেন, আপনার ব্যাচমেট কেউ বিদেশে গিয়ে লাখ লাখ টাকা কামায় আপনি এখনো পড়াশুনা করেন কেন এসব আজগুবি বিষয় নিয়ে তাদের অনেক টেনশন।মাঝে মাঝে দেখবেন আপনার নিজের ফ্যামিলিও যেসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত নয় অন্যান্য মানুষ এর থেকে বেশি চিন্তিত। গ্রামের টক্সিক বিষয়গুলোর আরেকটি বড় পার্ট হচ্ছে ঝগড়া, আপনি এমন কোনো বাড়ি খুজে পাবেন না যেখানে জায়গা-জমি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ফ্যামিলি সেই ফ্যামিলির সাথে কোনো একভাবে ঝগড়া লেগেই থাকে। ১ ইঞ্চি জায়গা নিয়ে মাথা ফাটাফাটি,অশ্লিল ভাষায় গালাগালি,মামলা মোকদ্দমা চলতেই থাকে। এইজন ওইজনের নামে গোপনে প্যাচ লাগিয়ে ঝগড়া বাদিয়ে দেওয়া,কাউকে পছন্দ ...

পরিবার

 নতুন স্ত্রীকে নিয়ে টেবিলে খেতে বসেছি। টেবিলে আরো আছে বাবা মা ভাই বোন। স্ত্রী সবার প্লেটে খাবার তুলে দিলো। খানিক পর আমি সবার প্লেটে মাছ তুলে দিতে লাগলাম। বাবা মা ভাই বোনের প্লেটে মাছ তুলে দেয়ার সময় কোনো সমস্যা হলো না। কিন্তু স্ত্রীর প্লেটে যেই মাছ দিলাম, দেখলাম কলেজ পড়ুয়া ছোটো বোনটা ফিক করে হেসে দিলো। ভার্সিটি পড়ুয়া ছোটো ভাইটাও মুচকি হাসলো। বাবার চেহারায় অস্বস্তি ফুটে উঠলো। মা তীক্ষ্ণ চোখে আমার দিকে তাকালো। আর স্ত্রী বিব্রত হয়ে পড়লো। খাওয়া শেষে রুমে এসে স্ত্রী বললো,"বাসার মানুষদের সামনে তুমি কখনো আমার প্লেটে খাবার তুলে দেবে না।" অবাক হয়ে বললাম,"তুমি সবার সামনে আমার প্লেটে খাবার তুলে দিতে পারবে, সেটাতে কোনো সমস্যা হবে না, আর আমি দিলে সমস্যা হবে? এটা কেমন নিয়ম?" "আমাদের সমাজের এটাই নিয়ম। দয়া করে সবার সামনে আমাকে আর বিব্রত কোরো না। আড়ালে এসব নিয়ে হাসাহাসি হয়, মন কষাকষি হয়।" পরদিন খাওয়ার টেবিলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর প্লেটে খাবার তুলে দিলাম না। তবে স্ত্রী যখন সবার প্লেটে খাবার দেয়ার পর আমার প্লেটে খাবার দিচ্ছিলো, আমি তখন স্ত্রীকে বললাম,"আমাকে দিতে হব...