Posts

Showing posts from June, 2024

ভাই ও বোন

  দোস্ত মালটা কে রে? রাজু : জানিনা। এলাকায় নতুন মনে হয়.... -আরে বাল রোজই তো ব্রীজে বসে কলেজ ছুটির টাইমে আড্ডা দেই। কিন্তু এই কালারের বোরকা পরা কোনো মেয়েকে তো দেখিনি, আজই প্রথম দেখলাম। রাজু : যাই বল মালটা কিন্তু হেব্বি। -মামা ফিগার দেখছিস? একদম উপরে ৩৪ মাঝখানে ৩২ নিচে ৩৬। রাজু : বলিসনা রে খাইতে ইচ্ছে করতেছে। -এইযে সেক্সি ফিগারটা কে বানাইছে বয়ফ্রেন্ড? আমরা এলাকার ভাই আছি তো। আমাদের দিকে একটু নজর দাও। তুমি চাইলেই ৩২ কে ৩৬ করে দিতে পারবো। . সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করে ছেলেটা। স্কুল, কলেজের মেয়েদের ইভটিজিং করে। যাইহোক যে মেয়েগুলোকে একটু আগে ইভটিজিং করলো তারা চলে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পর রাহুলের ফোনে কল আসলো.... . রাহুলের মা : বাবা তুই কই? -কি হইছে মা? তোমার গলা এমন শোনাচ্ছে কেন, কান্না করছো কেন? রাহুলের মা : রুমি আর নেই। -মানে.... ফোনের ওপাশ থেকে মায়ের মুখে কথাটা শোনার পরে আকাশ ভেঙ্গে পরে রাহুলের মাথায়। রুমি তার একমাত্র আদরের ছোট বোন। রুমি ওর কলিজার টুকরা। সেই রুমি নাকি মারা গেছে। রাহুল এটা কেমনে মানবে? এক দৌড়ে বাসায় আসে রাহুল। পুরো আঙ্গিনা লোকজনে ভর্তি। কান্নার রোল পরে গে...

বৃদ্ধাশ্রম

  সবজি কেনার জন্য ১৫মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু দোকানদার আমাকে সবজি দিচ্ছে না। আমার পরে যারা আসছে সবজি বিক্রেতা তাদের কাছে ঠিকিই সবজি বিক্রি করছে অথচ আমাকে তাকিয়েও দেখছে না। আমি কিছুটা রেগে বললাম, - ফাইজলামি করেন আমার সাথে? কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি সবজি কেনার জন্য আমাকে পাত্তা দিচ্ছেন না অথচ আমার পরে যারা আসছে তাদের কাছে ঠিকিই সবজি বিক্রি করছেন। সবজি বিক্রেতা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, - “যে ছেলে তার বৃদ্ধ বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে পারে তার কাছে কোন সবজি বিক্রি করবো না। শুধু আমি কেন এই বাজারের কোন সবজি বিক্রেতাও আপনার কাছে সবজি বিক্রি করবে না” সবজি বিক্রেতার কথাই সত্যি হলো। আমার কাছে কেউ সবজি বিক্রি করতে চাইলো না। আমি টাকা বাড়িয়ে দিতে চাইলাম তবুও না। মাথাটা ঠান্ডা করার জন্য একটা দোকানে গিয়ে দোকানদারকে যখন বললাম, - ভাই একটা সেভেন আপ দেন তো। দোকানদার লোক বললো, সেভেন আপ নাই। আমি দোকানদারকে ফ্রিজে থাকা সেভেন-আপ দেখিয়ে অবাক হয়ে বললাম, -এইগুলো কি তাহলে? সেভেন-আপ থাকার পরেও আপনি না করছেন কেন? দোকানদার উত্তর দিলো, - “এই সেভেন-আপ আপনার কাছে বিক্রি করবো না। শুধু সেভেন-আপ কেন? আপনার কা...

BF - এর অর্থ

একবার এক ছেলে তার কলেজের এক সুন্দরী মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলো: আমাকে কি তোমার BF বানাবে?  মেয়েটি হেসে মজার ছলে বললো... BF এর মানে কি সেটা আগে আমাকে বলো!! তখন ছেলেটি হেসে বললো কেনো! Best Friend! এমন সুন্দর উত্তর শুনে মেয়েটি রাজি হয়ে গেলো!  ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সৃষ্টি হলে... কিছুদিন পর ছেলেটি আবার মেয়েটিকে বললো: আমি কি তোমার BF হতে পারি?  মেয়েটি তখন জবাব দিলো: আমরা তো এখনো BF হয়েই আছি! আবার কিসের BF হবো বলো? ছেলেটি বললো এটা ওই BF নয়!  এবারের BF মানে Boy Friend!  মেয়েটির ইতোমধ্যে ভালোলেগে গিয়েছিলো ছেলেটিকে! এতপর তাদের মধ্যে প্রেম হয়, প্রেম থেকে পরিনয়! বিয়ের কয়েক মাস পর মেয়েটি ছেলেটিকে বললো: শুনছো! তুমি বাবা হতে চলেছো! ছেলেটি অবাক হয়ে বললো তাই নাকি? তাহলে অবশেষে আমি তোমার BF হতে যাচ্ছি! মেয়েটি হেসে জিজ্ঞেস করলো: এই BF এর মানে কি আবার? ছেলেটিও মৃদু হেসে জবাব দিলো Baby’s Father!  স্বামী স্ত্রী আর একটি ফুটফুটে বাচ্চা; সুন্দর সাজানো গোছানো একটি সংসার! অন্য সব সংসারের মতো এখানেও চলতো ছোটখাটো নানারকম ঝগড়াঝাটি, নানা খুনসুটি, মান অভিমান!  একদিন স্বামী...

ফারাক্কা ব্রীজ এর ইতিহাস

আমরা অনেকেই কলকাতার অভিমুখ থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গীয় অঞ্চলের দিকে যাত্রা করার সময় ফারাক্কা ব্যারেজ পার করেছি। তবে এই ফারাক্কা ব্রিজের গুরুত্ব ঠিক কতটা তা হয়তো অনেকেই জানিনা। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক ফারাক্কা বাধ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ভারতের হুগলী নদীতে পানি সরবরাহ এবং কলকাতা বন্দরটি সচল করার জন্য ১৯৭৪ সালে এই ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করা হয়, যার অবস্থান বাংলাদেশ থেকে ১৮ কিলোমিটার উজানে ভারতের ভূখণ্ডে গঙ্গা নদীর ওপরে। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে কলকাতা বন্দরের কাছে হুগলি নদীতে পলি জমা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই পলি ধুয়ে পরিষ্কার করার জন্য ফারাক্কা বাঁধ তৈরি করা হয়। শুখা মরসুমে (জানুয়ারি থেকে জুন) ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গার ৪০,০০০ ঘনফুট/সে (১,১০০ মি৩/সে) জল হুগলি নদীর অভিমুখে চালিত করে। হিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি বাঁধটি তৈরি করে। ফারাক্কা বাঁধ, ভারতের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা নদীর উপরে নির্মিত একটি বিশাল আকৃতির বাঁধ। এই বাঁধের মাধ্যমে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে ভারত সরকার। তবে ফারাক্কা বাঁধ পরিবেশগত ও কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিত...

স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাপের বাড়ী।

 -স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়িতে এসেছি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়িতে এসে বলেছিলাম, "তোমার সংসার করবো না।" স্বামী তখন নির্বাক হয়ে শুধু চেয়ে ছিল। বাড়িতে পৌঁছাতেই ভাইয়া প্রশ্ন করল, "কী ব্যাপার আয়েশা, তুই হঠাৎ বাড়িতে?" "কেন, আমি কি আসতে পারি না? নাকি আসা নিষেধ?" "না, তা বলিনি। তুই তো সাধারণত আসার আগে জানিয়ে আসিস। আজ বলিসনি তাই জিজ্ঞেস করলাম।" "ওহ, আচ্ছা, আমি একটু বিশ্রাম নিচ্ছি।" ভাইয়া তখন বলল, "ঠিক আছে, তুই বিশ্রাম কর, আমি বাজার থেকে কিছু নিয়ে আসি।" এমন মুহূর্তে ভাবি বলে উঠল, "বাহ, দরদ দেখি উতলে পড়ছে বোনের জন্য! আমার বাবা-মা এলে বাজারে যাওয়ার নাম গন্ধ থাকে না। আর বোন বাড়িতে আসতেই বাজারে চলে যাচ্ছে। বলছি, পকেটে টাকা আছে তো? নাকি বাচ্চার স্কুলের টাকা নিয়ে যাচ্ছ?" ভাবির এমন কথায় ভাইয়া বলল, "আরে, এমন করে বলছ কেন বুঝলাম না।" "তোমাকে বাজারে যেতে হবে না। বাসায় যা আছে আয়েশাও সেটাই খাবে। ওই টাকাটা নষ্ট করো না।" ভাবির মুখে এসব কথা শুনে আমি কিছু বলব কি ভেবে পাচ্ছিলাম না। পৃথিবীতে এই ভাইটি ছাড়া আর কেউ...

একটি গরিব বাচ্চা ও তার মা।

 ১০ বছরের বাচ্চাটি বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ বিক্রি করে। একদিন একটা বাড়ির সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজালো। মালকিন: বাইরে এসে...কি ব্যাপার? বালক: বলছিলাম আন্টি, আপনার বাগানটি কি পরিস্কার করে দেবো আমি ?  মালকিন: না না কোন দরকার নেই, আর আজ সকালে তুই খবরের কাগজ দিয়ে যাসনি কেন? বালক:- দুহাত জোড় করে করে বলে প্লিজ আন্টি করিয়ে নিন না, খুব ভালো করে বাগানটা সাফ করে দেবো, আর আজকে কাগজ ছাপা হয়নি, কাল স্বাধীনতা দিবসের ছুটি ছিল তাই। মালকিন : একটু নরম সুরে...আচ্ছা ঠিক আছে, কতো টাকা নিবি? বালক: টাকা লাগবে না আন্টি, শুধু খাবার দিলেই হবে। মালকিন: ওহ, ঠিক আছে যা, খুব ভালো করে পরিস্কার করবি কিন্তু। (মনে হচ্ছে বেচারা আজ কিছু খাইনি,আগে ওকে কিছু খাওয়ানো দরকার...মালকিন চিন্তা করল) মালকিন: এই ছেলে..এদিকে আই,আগে তুই খেয়ে নে, তারপর কাজ করিস। বালক: না আন্টি আগে কাজ করে নিই তারপর খাবো। মালকিন: আচ্ছা বেশ...এই বলে নিজের রুমে ঢুকে গেলেন।  বালক: ২ ঘন্টা পর "আন্টি,ও আন্টি,দেখুন না ঠিকঠাক সাফাই হয়েছে কিনা? মালকিন : আরে বাহ্! তুই তো বাগানের আশপাশ গুলোও ভালো করে সাফ করে দিয়েছিস। এখানে এসে বস, আমি তোর জন্য খাবার নি...

ফজরের নামাজের ফযীলত

 সকলকেই বলি ফজরের নামাজ অলসতা করবেন না এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ *১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী,কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, '"মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর""* (বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪...মুসলিম--৬৬১) *২.রাসূল (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়।অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।* (সহিহ মুসলিম,তিরমিজি--২১৮৪) *৩.রাসূল (সাঃ) বলেছেন, *" যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে,আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে।* (বুখারী-মুসলিম) *৪. রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, *'"যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহতালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!* (সহিহ মুসলিম-১০৯৬) *৫. রাসূল সাঃ বলেছেন, *"" যে ব্যক্তি ভোর রাতে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান ...
 গায়রত কী?   গায়রত  অর্থ ঈর্ষা বা আত্মমর্যাদা।  যার গায়রত নাই সে লোফার ছাড়া আর কিছু নয়। একজন গায়রতহীন পুরুষ বড়ই ভয়ংকর। এখনকার সময়ের পুরুষদের গায়রত থাকবে তো দূর, তারা তাদের স্ত্রীর বেপর্দা ছবি ফেসবুকে আপলোড দেয়!! আল্লাহুম্মাগফিরলী..! ঘটনা ১ একদিন এক ব্যাক্তি আলি ইবনু আবি তালিব (রা) কে জিজ্ঞাসা করলেন তার স্ত্রী কেমন আছে? তিনি উত্তর দিলেন: " যদি তোমার রক্ত হালাল হতো,তাহলে আমি তরবারি দিয়ে তোমার মাথা কেটে ফেলতাম।" [ ইবনে কাসীর,আল- বিদায়া ওয়ান- নিহায়া] ঘটনা ২  মক্কার এক মুশরিক তার উটকে জবেহ  করে দিচ্ছিলো। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি উট টি জবেহ কেন করলেন?  আপনার টাকার প্রয়োজন হলেত বিক্রি করে দিতে পারতেন। তখন লোকটি বললো,  এই উটের উপর আমার মহিলারা  বসতো, বিক্রি করে দিলে এই উটের উপর অন্যপুরুষ বসবে এটা আমার সহ্য হবে না,  তাই এই উটই আমি রাখবো না। একজন মুশরিক হওয়া সত্বেও তার কত গায়রত!!! আর আমাদের ভাই- বোনদের কি দশা?? আস্তাগফিরুল্লাহ্  গায়রতহীন পুরুষরা সবাই দাইয়ুজ। রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারা জান্নাত তো পাবেই না, জান্নাতের গন্ধও পাবে না। وَ ...

দরিদ্রতা

 আমাদের দেশের এক দরিদ্র ছেলে রাতের বেলা কোরআন পড়ছিল। হঠাৎ তেল শেষ হয়ে বাতিটা নিভে যাওয়ায় ছেলেটি মনের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো, ‘হে আল্লাহ, আমায় এত গরীব করে কেনো দুনিয়াতে পাঠালে? তেল কিনে কোরআন পাঠ করার সামর্থও যে আমার নাই’। তখন ঐ ছেলেটির কান্না শুনে এক যুবক তার দরজায় ঘা মারলো। ছেলেটি দরজা খোলার পর তাকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘তুমি কাঁদছো কেনো?’ অতঃপর ছেলেটি তাকে বললো, ,আমি এতই গরীব যে তেল কিনে কোরআন তেলাওয়াত করতেও পারছিনা’। যুবকটি বললো, ‘তুমি কেঁদনা আমি তোমার জন্য কেরোসিন নিয়ে আসছি’। . কিছুক্ষন পরে যুবকটি কেরোসিন কিনে এনে বললো, ‘আমি জীবনে আর মদ খাব না। এতদিন যত টাকার মদ খেতাম এখন থেকে সেই টাকা দিয়ে তোমাকে কোরআন পড়ার জন্য কেরোসিন কিনে দেব’। ওই রাতেই যুবকটি মারা গেলেন কিন্তু সে মদ খেত বলে এলাকার লোকজন কেউ তার দাফন কাফন করতে চাইলো না । এমনকি তার লাশ ঐ এলাকার কবরস্হানে দাফন করতেও দিবেনা বলে জানালেন। অতঃপর যুবকটির লাশ জঙ্গলে ফেলে রেখে আসা হল। কিন্তু আল্লাহর কি কুদরতি মহিমা তিন দিন তিন রাত অতিবাহিত হবার পরেও লাশটি সম্পূর্ন অক্ষত অবস্হায় ছিল। বনের কোনো হিংস্র জন্তু জানোয়ার ছিড়...

মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী!

এক বার এক স্কুলে স্থানীয় মহিলারা একটি সাধারণ সভার আয়োজন করেছিলেন। সেখানে কথা বলতে যেয়ে এক মহিলা বলেছিল যে, "মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী।" কথাটা শেষ করতে না করতেই একজন ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিবাদের সুরে বললেন, 'আপা, আপনার কথাটা মানতে পারলাম না। পুরুষ মানুষের আবার লজ্জা দেখলেন কোথায়? ওরা তো বেশরম- বেলজ্জ। প্রথম মহিলা দ্বিতীয় মহিলার বক্তৃতা থামিয়ে বললো আপা, আপনি কি করেন? তিনি বললেন এই স্কুলে শিক্ষকতা করি। প্রথম মহিলা বললো, কয়জন পুরুষ আর কয়জন মহিলা শিক্ষক আছেন এই স্কুলে? তিনি বলেন, আমরা সমান সমান। চার জন পুরুষ চার জন মহিলা। হাসি মুখে উত্তর দিলেন ভদ্রমহিলা। প্রথম মহিলা বললো, আপা আপনি কি কোন দিন আপনার পুরুষ সহকর্মীদের পেট-পিঠ দেখেছেন? "ভদ্রমহিলা ভ্রু কুচকে তাকালেন। বললেন তার মানে? প্রথম মহিলা বললো "দেহ প্রদর্শন করা নির্লজ্জতা। কিন্তু এই কাজটা সাধারণত পুরুষেরা করেনা। আপনার যদি কখনো ইচ্ছে হয়, আপনার কোন পুরুষ সহকর্মীর পেট কিংবা পিঠ দেখবেন, তাহলে তাকে ডেকে বলতে হবে ভাই আপনার শার্ট কিংবা পাঞ্জাবীটা একটু উপরে তুলুন তো, আমি আপনার পেঠ কিংবা পিঠ তা একটু দে...

একটা মেয়ের জীবন

 নতুন বিয়ে করা স্ত্রীর সাথে ড্রইং রুমের সোফায় বসে টিভি দেখছিলাম। আর সোফার পাশে মেঝেতে বসে টিভি দেখছিলো দশ এগারো বছরের কাজের মেয়েটি। ওর নাম বিজলি। দরিদ্র ঘরের মেয়ে। বাবা নেই, মা আছে। আমাদের গ্রামে ওদের বাড়ি। সেই সূত্রেই আমাদের চেনেন তারা। ওর মা একদিন মেয়েকে নিয়ে গ্রাম থেকে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মাকে বললো, মেয়েটিকে যেনো আমরা রেখে দিই। আমাদের এখানে থাকবে, কাজ করবে। মা রেখে দিলেন। তারপর থেকে মেয়েটি আমাদের বাড়িতে থাকে। মাঝে মাঝে ওর মা এসে মেয়েকে দেখে যায়।   আমার স্ত্রী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললো,"তুমি নিচে কেনো বসেছো? সোফায় বসো মা।"      মেয়েটি আমাদের এখানে আছে দু বছর হলো। সে সব সময় নিচে বসে টিভি দেখে। তাকে কখনো আমরা সোফায় বসে টিভি দেখার কথা বলি নি।    মেয়েটি তাই অবাক চোখে দেখে এবং কিছুটা ভয় নিয়ে আমাদের দিকে তাকালো। সে বুঝতে পারছে না কী করবে?   স্ত্রী তখন উঠে গিয়ে বিজলির হাত ধরে দাঁড় করিয়ে সোফায় বসালো।    এবং হেসে বললো,"এখন থেকে সোফায় বসে টিভি দেখবে। কখনো নিচে বসবে না।"   মেয়েটি কিছু উপাই না পেয়ে  জড়োসড়ো হয়ে বসে টিভি দেখতে লাগলো। ...

স্বামী স্ত্রী

স্বামী স্ত্রী  স্বার্থপর কিংবা আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেম করা আর সংসার করার মাঝে বিশাল ফারাক। প্রেম চাইলেই ভেঙ্গে দেয়া যায়, নিজেকে সম্পর্ক থেকে সরিয়ে নেয়া যায়। তবে সংসার? সংসার কি চাইলেই ভেঙ্গে দেয়া যায়?  জীবন আর কতটুকুই যন্ত্রণা দেয়? একবার শুধু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে স্বার্থপর কিংবা আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের মানুষ জীবন সঙ্গী হলেই নিজের যাবতীয় সুখ হারিয়ে ফেলতে হয়! জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে তিনটাই ঐ উপরওয়ালার হাতে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় কী, জানেন? এই ভালো মানুষগুলোর কপালেই সবসময় স্বার্থপর স্বভাবের মানুষগুলোই জুটে!  স্বার্থপর কিংবা আত্মকেন্দ্রিক মানুষগুলো কখনোই সঙ্গীর চাওয়া- পাওয়ার ব্যাপারে যত্নবান হয় না। সঙ্গীর প্রতি যত্নবান সেই সাথে শ্রদ্ধাশীল হয় না। এরা সুখ বলতে কেবল নিজের ভালো থাকাকে বোঝে। আবার কেউ কেউ নিজে এবং সন্তানের ভালো থাকাকেই সুখ বোঝে। সঙ্গীর কথা ভুলেও চিন্তা করে না। তবে সঙ্গী?  সঙ্গীর কথা ভাবার তাদের সময় নেই। সঙ্গীর ভালো থাকা, সঙ্গীর অসহায়ত্ব কিংবা তার মন কখনোই বুঝতে চেষ্টা করে না! উল্টো নিজের চাহিদা পূরণে একটুখানি কমতি হলেই সঙ্গীর উপর চরম মানসিক নি র্য...
 মিস্ত্রির সাথে বাড়ি নির্মাণের চুক্তিনামার স্যাম্পল। একটা বাড়ি নির্মাণে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি বেশিরভাগ বাড়ির কাজ শেষ করার আগে ও পরে প্রায়ই উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা লেগে যায়। আপনি কি কাজ করাবেন, কোন কাজে কত রেট দিবেন ইত্যাদি বিষয়ের সবকিছু একটা চুক্তির মাধ্যমে করা উচিৎ এবং অবশ্যই তা একটা ৪০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত রাখতে হবে।  বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ২টা পক্ষই চায় নিজে লাভবান হতে, ষ্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি হলে সেই সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।  পারিবারিকভাবে পরিচিত, আত্নীয় যেই হোকনা কেন চুক্তি না করে নিলে ঝামেলা হতেই পারে। কোন পক্ষ যদি ষ্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি না করতে চায় তাহলে ধরে সেই পক্ষের ভিতর কোনো না কোনো সমস্যা আছে। তাই  চুক্তি করার পর আইনগত ভিত্তি মজবুত করার জন্য উভয় পক্ষ মিলে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারী পাবলিক বা রেজিষ্ট্রেশন করে নেয়া উচিৎ, যাতে করে যে পক্ষ চুক্তির খেলাপ করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।   তাই আগে কাগজ পত্র সঠিক হলে কাজও হবে সঠিক।

হটাৎ করে

                           হটাৎ করে  এক গ্রামে একটি মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল। সেই মেয়েকে দেখতে আসার জন্য ঘটক বলেছিল আমার বোনকে দেখতে ছেলে আর ছেলের বাবা মা আসবে। আমরা সেই হিসাবেই আয়োজন করেছিলাম। পরে দেখি ছেলের সাথে আরও  অনেকে এসেছে। সাথে কিছু বাচ্চাও আছে। বাবা আমায় আড়ালে ডেকে নিয়ে  ১৫ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বলল, - "আবির, তাড়াতাড়ি বাজারে যা। খাসি মাংস, মুরগীর মাংস, আর যা যা লাগে সব কিনে নিয়ে আসো।   আমি আমার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাজারে গেলাম। সবকিছু কিনলাম শুধু খাসির মাংসটা কেনা হলো না। একে তো বৃষ্টি তার উপর গ্রামের ছোট একটা বাজার। তাই ওখানে খাসির মাংস সব সময় পাওয়া যায় না। বাবাকে যখন ফোনে বললাম, বাজারে কোথাও খাসির মাংস পেলাম না তখন বাবা বললো, “যেভাবে পারিস খাসির মাংসের ব্যবস্থা কর। তা নাহলে আমার সম্মান থাকবে না” বাইকে করে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গেলাম বিডিও অফিসের কাছে বড় বাজারে। মাংস কিনে বাড়ি পৌছাতে একটু দেরি হয়ে গেল। বাবা আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, এত দেরি হলো কেন? খুব দেরি দেরি...
ভালো থাকতে শেখ  তাকে ছাড়া ভালো থাকতে শেখো যে তোমাকে ছাড়া ভালো আছে,,  তার কাছে নিজেকে প্রকাশ করো না যে তোমাকে ইগনোর করে,,,। নিজেকে সস্তা বানিয়ে কখনো ভালোবাসা পাওয়া যায় না,,  যা পাওয়া যায় তাহলো অপমান উপেক্ষা আর মিথ্যা অপবাদ,,,,।  তাই ভালোটা নিজেকে বাসো কখনো ছোট হতে হবে না,,  অপমান সইতে হবে না,,  আর না বদনাম বয়ে নিয়ে বাঁচতে হবে,,,,।   গুরুত্ব দাও নিজেকে সরিয়ে নাও নিজেকে সেই মানুষ এর থেকে যে মানুষটা তোমার ভালোবাসার মূল্য বোঝে না,,,। তোমাকে সময় দেয় না মিথ্যা ব্যস্ততার অজুহাত দেখায়,, আর যাই হউক মানুষ তোমাকে ভালোবাসে না,,,। সময় থাকতে সরিয়ে নাও নিজেকে,,  নয়তো অনেক কষ্ট পেতে হবে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে,,,।  তাই সময় থাকতে সব কিছু ঠিক করো সরে আসো ভুল মানুষের থেকে,,  নিজেকে ভালোবাসো আর সময় দাও সব নিজের মতো করে বুঝে নাও,, তুমি সুখী মানুষের তালিকায় থাকবে,,,।                 জীবনে কি পেয়েছি জানি                না, তবে অপমান উপেক্ষা          ...
অভিমান          কোনদিন আমি প্রচন্ড ভালোবাসার পিছনে ছুটি, কোন দিন সাপের মতন গুটিয়ে থেকে প্রচন্ড আরাম পাই। কোনদিন কারো কাছ থেকে কিছু না পেলেও দুঃখবোধ হয়না, অথচ এই আমিই গাছের ফুল ঝরে যাওয়ার জন্য হাহাকার  বোধ করি! কোনদিন মনে হয় আমি একাই পৃথিবী কে বাঁচিয়ে ফেলবো, আবার কোনদিন মনে হয় পৃথিবী কে আমি নিজ হাতে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে ফেলি। কোন কোন দিন নিজেকে প্রচন্ড জীবন্ত মনে হয়, বেঁচে থাকতে লোভ হয়, নিঃশ্বাস নিতে স্বস্তি লাগে! আবার কোন কোন দিন নিজেকে বোঝা মনে হয়,ভারসাম্যহীন মনে হয় নিজেকে। বেঁচে আছি কিনা সেটা বুঝতেও চিমটি কাটা লাগে। এই আমি মানে আমরা সবাই। প্রতিটা মানুষের এইসব উপলব্ধি হয়। কিন্তু থেমে থাকার নামতো জীবন না।
Image
                                               "সম্পর্কের মূল্য: পাড়ার মড়ল বন্ধুত্বের অনুভূতির গল্প" একটি গ্রামের পাড়ার এক মড়ল সাদা সারি ঘরটির বাড়ির সামনে ছিল। সেই ঘরে তিন বন্ধু অবস্থিত ছিলেন - মহিম, করিম, ও রাজু। এই তিন বন্ধুর মধ্যে খুবই মিষ্টি একটা সম্পর্ক ছিল। তারা সবাই প্রায়ই একে অপরের সাথে সময় কাটাত। একদিন, সেই মিষ্টি সম্পর্কটির মধ্যে গোলযোগ বাধল। মহিম একটি গোলযোগে আপত্তি করে করিমকে, যে সে সবসময় তার মোবাইল নিয়ে খেলতে বা চ্যাট করতে থাকে, তাই তিনি আর করিমের সাথে সময় কাটাতে চায় না। করিমের প্রতি তার এই অভিযোগের কারণে তার মনে অনেকটা দুঃখ ও বিরক্তি ছিল। এক সময় যখন মহিম মনে এই অভিযোগ স্পষ্ট হলো, করিম তার সঙ্গীতের সাথে বিদায় করে একেবারে মহিমের  বাসার দিকে চলে গেল। তার পথে, রাজু তার বন্ধুর মনের অবস্থার সন্দেহ দেখতে পেল। রাজু করিমের কাছে যাচ্ছিলেন যে তার বন্ধু রাজু তার কাছে প্রশ্ন করেন পরিবারের সাথে সময় কাটাতে চাচ্ছেন না তিনি। রাজু এই পরিস্থিতির সত...