স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাপের বাড়ী।
-স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়িতে এসেছি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়িতে এসে বলেছিলাম, "তোমার সংসার করবো না।" স্বামী তখন নির্বাক হয়ে শুধু চেয়ে ছিল।
বাড়িতে পৌঁছাতেই ভাইয়া প্রশ্ন করল, "কী ব্যাপার আয়েশা, তুই হঠাৎ বাড়িতে?"
"কেন, আমি কি আসতে পারি না? নাকি আসা নিষেধ?"
"না, তা বলিনি। তুই তো সাধারণত আসার আগে জানিয়ে আসিস। আজ বলিসনি তাই জিজ্ঞেস করলাম।"
"ওহ, আচ্ছা, আমি একটু বিশ্রাম নিচ্ছি।"
ভাইয়া তখন বলল, "ঠিক আছে, তুই বিশ্রাম কর, আমি বাজার থেকে কিছু নিয়ে আসি।"
এমন মুহূর্তে ভাবি বলে উঠল, "বাহ, দরদ দেখি উতলে পড়ছে বোনের জন্য! আমার বাবা-মা এলে বাজারে যাওয়ার নাম গন্ধ থাকে না। আর বোন বাড়িতে আসতেই বাজারে চলে যাচ্ছে। বলছি, পকেটে টাকা আছে তো? নাকি বাচ্চার স্কুলের টাকা নিয়ে যাচ্ছ?"
ভাবির এমন কথায় ভাইয়া বলল, "আরে, এমন করে বলছ কেন বুঝলাম না।"
"তোমাকে বাজারে যেতে হবে না। বাসায় যা আছে আয়েশাও সেটাই খাবে। ওই টাকাটা নষ্ট করো না।"
ভাবির মুখে এসব কথা শুনে আমি কিছু বলব কি ভেবে পাচ্ছিলাম না। পৃথিবীতে এই ভাইটি ছাড়া আর কেউ নেই আমার। বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছেন।
"ভাইয়া, থাক, বাজারে যেও না। আমি থাকার জন্য আসিনি। এই দিকে যাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম তোমাদের দেখে যাই। এখন তো দেখা হলো, আমি চলে যাচ্ছি।"
"মানে এখনই যাবি?"
"হ্যাঁ ভাইয়া, এখনই যেতে হবে। আচ্ছা ভাবি, ভালো থাকবেন। সময় পেলে আমার বাড়িতে আসবেন ঘুরতে।"
"আচ্ছা।"
এরপর আর একটি কথাও না বলে সোজা স্বামীর বাড়িতে চলে এলাম। স্বামী আমাকে দেখে মিটমিট করে হাসছে।
"হাসার কিছু নেই। ভালোবাসি বলেই ফিরে এসেছি।"
"হ্যাঁ জানি, শোন, তুমি রান্না বসাও, আমি বাজার থেকে কেনাকাটা করে আসছি।"
আসলেই, বিয়ের পরে যদি সুখের কোনো স্থান থাকে, সেটা স্বামীর বাড়ি। স্বামীর বাড়ি থেকে ঝগড়া করে একবার নিজের বাবার বাড়িতে যান, বাস্তবতা বুঝবেন। কে আপন আর কে পর, তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
তাই বলছি স্বামীর সথে ঝগড়া না করে ভালো ভাবে থেকো। সমস্ত সুখ নিজের স্বামীর বাড়িতেই পাবে।
Comments
Post a Comment