যত্নশীল স্বামী
৯ মাসের সন্তান পেটে নিয়ে একটু সুয়ে ছিলাম। এমন মূহুর্তে শাশুড়ি বাহির থেকে বলে উঠলো।
'সারা দিন এইভাবে সুয়ে থাকলে হবে। খাওয়া দাওয়ার বাবস্থা কে করবে শুনি।
-মা আমার পেট ভিষন বাথা করতেছে। যদি কষ্ট করে আপনি একটু আজ রান্না করতেন।
-প্লিজজ মা।
-বলছিনা এই সব নাটক আমি পছন্দ করিনা। বেরিয়ে আসো রুম থেকে।
'শাশুডির রাগান্বিত কথা শুনে রহিমা এক মুহূর্ত দেরিনা করে বাহিরে চলে আসে।
-এখন রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করো।
-ঠিক আছে মা যাচ্ছি।
'এর পরে রহিমা অসুস্থ অবস্থায় রান্না ঘরে এসে রান্না করতে থাকে।
'বেশ কয়েক মিনিট পরে রহিমা স্বামী বাসায় এসে রহিমা রহিমা করে চিৎকার শুরু করে।
'স্বামির এমন চিৎকারের আওয়াজ শুনেই রহিমা তার কছে চলে যায়।
হ্যাঁ বলো।
-কোথায় ছিলে তুমি এতক্ষন।
-রান্না ঘরে রান্না করছিলাম সবার জন্য।
-এইই তোমাকে কতোবার বলেছি এমন অবস্থায় তোমার কোন কাজ করা যাবেনা।
-একদিকে কাজ না করলে তোমার ভালো। অন্য দিকে কাজ না করলে তোমার মা বাজে কথা বলে। কার কথা শুনবো আমি।
"বউয়ের কথাটি শুনেই ছেলেটি আবার চিৎকার করে তার মাকে ডাক দেয়। এবং তার মা আসলে বলতে থাকে।
-সমস্যা কি তোমার মা।
-আমার আবার কিসের সমস্যা হবে।
-তুমি রহিমাকে রান্না ঘরে পাঠাইছো কেনো। তুমি জানোনা এই অবস্থায় ওর কাজ করা নিষেধ।
-আমারা বাচ্ছা হওয়ার আগে পযর্ন্ত কাজ করেছি। আর এখনকার মেয়েদের নাটক।
-বুঝলাম। কিন্তু তুমি তোমার মেয়ে যখন গর্ভবতী হয়েছিলো তখন তাকে ৬ মাসের মাথায় কেনো বাড়িতে নিয়ে এসেছিলে। তাকে কেনো কাজ করতে দাওনি। তার কেনো এতো যত্ন করেছো। উত্তর দাও আমাকে। কেনো এইটা নিজের মেয়ে না বলে এমন করতেছো।
"ছেলের কথায় মা কি উত্তর দেবে ভেবে পাচ্ছেনা?
-শোন রহিমা তুমি সব কিছু গিছিয়ে নাও তোমাকে আজ তোমার মায়ের কাছে রেখে আসবো। এই কয়েকদিন ওখানে রেষ্ট নিও।
-আরে সমস্যা নেই।
-একদম চুপ থাকো। আমি যা বলেছি তাই হবে সব কিছু গুছিয়ে নাও!
"ছেলেটি কি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে' সবাই একটু কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজজ। আমাদের সমাজে সত্য এখন এমন হচ্ছে' নিজের মেয়েটা মেয়ে' কিন্তু ছেলের বউটা মেয়েনা'
Comments
Post a Comment