একটি_রাতের_গল্প
----আমায় একটা বাচ্চা দিবি পল্লব? তোর কাছে আর কিছু চাইবো না জীবনে?
আবির আপুর কথা শুনে মাথায় যেনো আসমান ভেঙ্গে পড়লো আমার। আবির আপু আমার থেকে পাঁচ বছরের বড়ো। ওর সাতাশ,আর আমার সবে বাইশ। আমাদের ভেতরে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই।বয়সের ব্যবধান থাকলো একে অপরের বন্ধুর মতো মেলামেশা ছিলো দুজনের। ওর বিয়ে হয়েছে চার বছর হয়ে গেছে। স্বামী কোনো একটা ব্যাংকে চাকরি করে। আমি যতোদূর জানি সবকিছু ঠিকঠাক আছে ওদের ভেতরে তাহলে এই কথাটা বললো কেনো হঠাৎ বুঝতে পারছি না।
----আপু তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কি বলছিস এগুলা! ভেবে চিন্তে বলছিস তো?
---হ্যাঁ, ভেবে চিন্তেই বলছি। দেখ এই ব্যপারটা তোর আর আমার ভেতরেই থাকবে কেউ কিচ্ছু জানবে না।
---কোন ব্যপারের কথা বলছো তুমি?
---বাচ্চার ব্যপারের! বল তুই আমায় এই শেষ সাহায্য টুকু করবি।
(18+ alert,সবাই নিজ দ্বায়িত্বে পড়বেন! কারো খারাপ লাগলে ইগনোর করুন। অযথা বাজে মন্তব্য করবেন না।)
ওর কথা শুনে লজ্জায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না আমি। জানি না আবির আপু কিভাবে বলছে কথাগুলো। নিজের কানকে যেনো নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না এই মূহুর্তে।
---কি হলো চুপ করে আছিস কেনো কিছু বল?
---কি বলবো আমি জানি না কিছু।
---তোর কিছু জানতে হবে না। শুধু বল আমার কথায় রাজি কিনা। তুই রাজি না হলে আমার মরা ছাড়া উপায় থাকবে না।
---দুলাভাই কোথায়, তুই তাকে কিছু বলেছিস?
---মাথা খারাপ,আমি এগুলো তাকে বলবো!
---তাহলে আমি তোর সাথে কেনো এমন একটা বাজে কাজ করবো। আর তুই তো একদম সুবিধার মানুষ না। আমি যথেষ্ট সম্মান করতাম তোকে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেই সম্মানের জায়গাটা আর থাকবে না।
বেশ রেগে গিয়েই কথাগুলো বললাম। আমি জানি এই কথাগুলো আমার বয়সের সাথে যায় না। শিমুল আপু আমার কথা শুনে কান্না শুরু করে দিলো।আমি লক্ষ্য করলাম ওর চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় জল গড়িয়ে পড়ছে। হয়তো আমার কথায় মনে কষ্ট পেয়েছে। ওর সত্যিই হয়তো আমার সাহায্যের প্রয়োজন সেটা না হলে এইরকম একটা প্রস্তাব কেনো দেবে আমাকে শুধু শুধু। কোনো সাংঘাতিক কারণ তো নিশ্চয়ই আছে। সেটা না হলে ও কিছুতেই নিজের সমস্ত লাজ লজ্জা বিসর্জন দিয়ে আমার কাছে ছুটে আসতো না। একদিকে ওর চোখের জল সহ্য করতে পারছি না আমি,অন্যদিকে বিবেকের দংশনে মরে যাচ্ছি।কি করবো বুঝতে পারছি না। একটু ভেবে আমি আবির আপুর দিকে এগিয়ে গেলাম। ওর কাঁধের হাতটা রাখলাম।
----বল কবে আর কোথায় যেতে হবে আমায়?
আমায় রাজি হতে দেখে আবির আপুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো। আমাকে বললো-
---কোথায় যেতে হবে না,আমি আজ রাতেই তোর ঘরে আসবো। তুই রেডি থাকিস!
---কিন্তু আমি তো এসব করিনি কখনো।
---সমস্যা নেই,আমি বুঝিয়ে দেবো। তুই শুধু নিজেকে তৈরী রাখিস।
---আচ্ছা আর একটা কথা বলি,
---হ্যাঁ,বল।
---যদি প্রথমবারেই কাজ না হয় তখন কি হবে? মানে তুই যেটা চাইছিস আমার থেকে? যদি বাচ্চা না আসে?
---তাহলে বুঝবি এই দুনিয়ায় আমার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে।
এটা বলে আবির আপু হনহন করে আমার ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো। আমি ওর পথের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলাম। ওর কথার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারলাম না। কি চলছে ওর ভেতরে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন।
আবির আপুকে কথা তো দিয়েই দিলাম কিন্তু রাতে কি ঘটবে সেটা ভেবে হাত পা কাঁপছে আমার। এতো বড়ো একটা পাপ করতে চলেছি না জানি লোকজানাজানি হলে আমার আর ওর কি হবে তখন? শারিরীক সম্পর্কের বিষয়ে বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা নেই আমার। কোনোদিন মাথা ঘামাই নি এই নিয়ে।জানার বা বোঝার চেষ্টাও করিনি। পড়াশুনার মাঝে ডুবিয়ে রেখেছি নিজেকে। তবে আশ্চর্য ব্যপার হলো এতো অনিচ্ছা ভয় উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কেমন একটা অদ্ভুদ অনুভূতি হচ্ছে নিজের ভেতর। যা আগে কখনো হয়নি। আবির আপু রাতে আমার কাছে আসবে এটা ভেবে আমার ভালো কেনো লাগছে বুঝতে পারছি না। আমি তো ওর সাথে করতে চাই না এসব। তারপরেও এই ভালোলাগার উৎপত্তি কোথায়?নিজেও জানি না আমি।
আবির আপুর সত্যিই আমার সাহায্যের প্রয়োজন? যা না পেলে নিজেকে শেষ করে দেবে ও! কি এমন কারণ আছে এর পেছনে? কোনো বিবাহিত নারী কেনো ইচ্ছে করে নিজের সতীত্ব নিজের হাতে নষ্ট করতে চাইবে?
কি হতে চলেছে আজ রাতে আমার সাথে?
চলবে......
(পর্যাপ্ত সাড়া পেলেই তবে নতুন পর্ব আসবে আর গল্পটা কাউকে ছোটো করার জন্য নয়,পুরো না পড়ে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না আশা করি।)
Comments
Post a Comment